ঢাকা: উদ্বোধনের পর থেকে ছুটির দিনগুলোতেই মেট্রোরেলে নগরবাসীর বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে বিশ্ব ইজতেমার কারণে দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকট।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সরেজমিনে আগারগাঁও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, মেট্রোরেল চালুর সময় সকাল সাড়ে আটটার আগেই যাত্রীরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন।
কথা হলে আব্দুল হক নামে একজন বলেন, বাসার সবাই মেট্রোরেলে চড়তে চেয়েছিল, সেজন্য সুযোগ পেয়ে সবাইকে নিয়ে এসেছি।
আমিন উদ্দিন নামে এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, ইজতেমার কারণে রাস্তায় বাস নেই বললেই চলে। এজন্য কারওয়ান বাজারের অফিসে যাওয়ার জন্য উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে উঠেছিলাম, এখন আগারগাঁও স্টেশনে নামলাম।
অন্যদিকে মোহাম্মদ ফজলু নামে এক যাত্রী বলেন, টঙ্গীতে যাবো ইজতেমায়, এজন্য ট্রেনে উঠে উত্তরা যাচ্ছি। ওখান থেকে টঙ্গী যাবো।
এদিকে মহানগরী ঢাকার যাত্রীদের মধ্যে অভ্যস্ততাও বেড়েছে মেট্রোরেলে চলাচলে। ফলে স্টেশনে ঢুকতে কিংবা বের হতে সময় লাগছে না যাত্রীদের। তবে যারা এখনও অভ্যস্ত নয় তাদের মেট্রোরেল কর্মীরা সাহায্য করছেন।
মেট্রোরেলের এক কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের এখন তেমন সমস্যা হচ্ছে না। বেশিরভাগ যাত্রীই বুঝে গিয়েছেন কীভাবে মেট্রোরেলে চড়তে হবে। তবে কিছুসংখ্যক যাত্রী আছেন যাদের এখনো সমস্যা হচ্ছে, তবে তাদের আমরা সাহায্য করি।
মেট্রোরেল প্ল্যাটফর্ম ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীরা মেশিনে এবং হাতে হাতে টিকিট কাটছিলেন। এরমধ্যে অনেক যাত্রী প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে চড়ার স্বাদ নিতেও এসেছেন।
প্রসঙ্গত, ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পরদিন থেকে চালু হয় মেট্রোরেলে যাত্রী চলাচল। তখন থেকেই বাহন কেবল আগারগাঁ-উত্তরার দিয়াবাড়ী স্টেশনের মধ্যে চলাচল করছে। মাঝের কোনো স্টেশনে থামছে না। আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে পল্লবী স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে মেট্রোরেল।
মেট্রোরেলের অন্য স্টেশনগুলো খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক বলেন, লোকবল নিয়োগের কাজ পুরোদমে চলছে। তারপর আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে মেট্রোরেলের আগারগাঁও-উত্তরা অংশের প্রতিটি স্টেশন খুলে দেওয়া হবে।