গাজীপুরের কাশিমপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মান্নানের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন এলাকার বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকরাও।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ মান্নান নিজেকে স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল বলে পরিচয় দেন, যদিও তিনি আসলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তার এই মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, স্কুলের পাশে অবস্থিত মার্কেটের ভাড়া বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ব্যবহার না করে তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করছেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অভিযোগ উঠলেও প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন অবসরে যাওয়ার পরও তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে বহাল রেখেছেন। যার ফলে বিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
এলাকার অভিভাবকরা আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে জানান, অধ্যক্ষ মান্নানের এই অনিয়ম শিক্ষার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তারা বলেন, "আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ রাখতে আমরা একজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব চাই। অধ্যক্ষ মান্নানের অনিয়ম আর সহ্য করা হবে না।"
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা জানান, "অধ্যক্ষ মান্নানের এমন কার্যকলাপ শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর। আমরা তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।" তারা আরও জানান, এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন।
অধ্যক্ষ মান্নান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেন, "আমি সবকিছু নিয়ম মেনেই করছি এবং এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।" এই প্রতিষ্ঠানের ৯০০ শিক্ষার্থী আছে বলে তিনি জানালেও তার সহকারী প্রধান জানান ৭০০।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবি, এই অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তারা আশাবাদী, প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।
কাশিমপুর স্কুল এন্ড কলেজের এই ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এলাকাবাসী দ্রুত এর সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানাচ্ছে।