ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের দুর্ভোগের কারণ অবৈধ গাছ বাজার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩১ জানুয়ারী ২০২২ ০৪:২৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার শোলাকিয়া ও মহিনন্দ ইউনিয়নের হাজরাদী এলাকায়দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে গাছ বোঝাই টমটম এর কারনে জনদুর্ভোগে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ।সপ্তাহে শনি ও বুধবার এ বাজারটি জমে।অসাধু প্রভাবশালীরা সপ্তাহের দুই দিনে তুলে নিচ্ছেন প্রায় লক্ষাধিক টাকা।

তাছাড়া এ দুদিন এলাকার মানুষ চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, পৌর মেয়র মোঃ পারভেজ মিয়া জানান, বাজারটি অনেকদিন যাবৎ চলছে। এটা ইজারা হয়নি। আগামী অর্থ বছরে ইজারার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কেউ টাকা তুলছে না পৌরসভা থেকে। টাকা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী জানান, ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন থেকে মহিনন্দ ইউনিয়নের রঘুখালী ব্রীজ পর্যন্ত অবৈধ গাছ বাজারটি পৌর মেয়রের সাথে কথা বলে অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।আমরা গাছ বাজার নামে কোন ইজারা দেইনি।

তবে এ বাজারটি স্থানীয়ভাবে গড়ে উঠেছে বলে আমরা ইতিমধ্যে খবর পেয়েছি।সরজমিনে জানা যায়, প্রায় অর্ধলক্ষ লোক দিশেহারা এই অবৈধ গাছ বাজারের জন্য।গত শনিবার (২৯ জানুয়ারি) শোলাকিয়া গাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৪ হাজার টমটম, ঠেলাগাড়ি, গরুর গাড়ি, লরি ট্রাক, ভটভটি বোঝাই গাছ রয়েছে। একাধিক গাছ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রতি গাড়ি থেকে ১০টা করে খাজনা দেয়। বাজারের নিয়ন্ত্রনে একাধিক ব্যক্তিরা এই টাকা তোলে বলে জানা যায়।এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পৌর মেয়র জানিয়েছেন, তিনি আজ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পাননি। তবে অভিযোগ না পেলেও আগামী অর্থ বছরে বাজারটি রাজস্ব খাতের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে এবং ইজারা দেয়ারও চিন্তাভাবনা চলছে।অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের সংলগ্ন গাছ বাজারটি চলমান আছে।

বাজারের বেশি অংশ পৌর এলাকায় হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে বাজারটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ বাজারটি যে জায়গায় গড়ে উঠেছে সেখানে আবাসিক ঘনবসতি রয়েছে এবং পার্শ^বর্তী ইউনিয়ন মহিনন্দের অধিকাংশ লোক এ রাস্তাটি ব্যবহার করে হাসপাতাল ও অন্যান্য কাজের জন্য।যাতায়াতের এ রোডটিতে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার লোকের যাতায়াত রয়েছে এবং এই রোডটিকে কেন্দ্র করে বসতির জনসংখ্যা প্রায় অর্ধলক্ষ। তাই জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ অবৈধ গাছ বাজারটি। বাজারে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অবৈধ টাকা যাচ্ছে অসাধু ব্যক্তির হাতে, নষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা এবং দুর্ভোগে দিশেহারা অর্ধলক্ষ জনসাধারণ।