ঢাকা, মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে ওসি এলএসডি'র বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৪ জুলাই ২০২৪ ০৮:৪২:০০ অপরাহ্ন | রংপুর

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) কাজল রেখার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তিনি  রুহিয়ায় যোগদানের পর থেকে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করছেন বেশ কয়েকজন হাস্কিং মিল মালিক।

 

সম্প্রতি তার অনিয়মের বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন রুহিয়া এলাকার বেশ কয়েকজন মিল মালিক এবং কৃষকরা।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওসি এলএসডি কাজল রেখা রুহিয়া খাদ্য গুদামে আসার পর থেকে দূর্নীতি সূলভ আচরণ করে আসছে।  মিল মালিক এবং কৃষকগণ গুদামে ধান সরবরাহ করতে গেলে কেজি প্রতি ১.৫ টাকা থেকে ২ টাকা উৎকোচ দাবি করেন ওসি এলএসডি। যারা টাকা প্রদান করেন তাদের ধান গুদামে খামাল করা হয়, টাকা না দিলে টালবাহানা শুরু করা হয়। এছাড়াও যারা বস্তা প্রতি ৭০-৮০ টাকা উৎকোচ প্রদান করেন তাদের কাছ থেকে নন সর্টার চাল সংগ্রহ করেন তিনি।  এছাড়াও মিলের বরাদ্দ অনুযায়ী মিলাররা গুদামে চাল দিতে আসলে চাল খারাপ বলে বিভিন্নভাবে মিলারদের হয়রানি করা হয়। মিলাররা তার বিরুদ্ধে কিছু বলারও সাহস পান না।

 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার ও চাল কল মালিক বলেন, ওসি এলএসডি কাজল রেখা ব্যাপক অনিয়ম করে চলছেন। তিনি প্রভাব খাটিয়ে এ অনিয়ম করছেন। আমাদের লিখিত অভিযোগে যে গুদামের চাউলের খামাল এর নন সর্টার চাল এর কথা উল্লেখ ছিল, অভিযোগের পরের দিনে সেই গুদামের চাল তিনি সরিয়ে দিয়েছেন।

 

রুহিয়া  খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজল রেখা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পুরো মিথ্যা,  আসলে তিন জন মিলার গুদামে ধান সরবরাহ করতে আসলে কিছু ধানের সমস্যা দেখতে পাই এবং সেই ধান আমি সরবরাহে অস্বীকার করি এবং এখান থেকেই যত বিপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও আমি সরকারি দায়িত্বে আছি, আমি কেন সরকারি নিয়মের বাইরে খারাপ ধান সরবরাহ করব।

 

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাছান জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে শুনেছি তবে এখনো আমার হাতে অফিসিয়ালী কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।