ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ডাকাতিয়ায় ট্রলার ডুবিতে ৫ মৃত্যুর ঘটনায় আটক ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩১ জানুয়ারী ২০২২ ০১:০১:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ডাকাতিয়া নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় মাটিবাহী ট্রলারডুবে পাঁচ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় বাল্কহেডের চার শ্রমিককে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ-থানা পুলিশ। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে তাদের আটক করা হয়।

আটক শ্রমিকরা হলেন- মো. জাবেদ, আবুল বাশার, মো. ইউনুস ও দিদার। তারা সবাই ইকবাল হোসেন-১ নামক বালুবাহী বাল্কহেডের শ্রমিক।

এর আগে ভোর ৬টার দিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামে ডাকাতিয়া নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত শ্রমিকরা হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদ নগর থানার বহরা গ্রামের মোবারক হোসেন (৫৫), একই এলাকার মাদবপুর গ্রামের আল আমিন (৩৫), তিতাস থানার ধুলারাসপুর এলাকার চাঁনপুর গ্রামের মো. নাছির উদ্দিন (৩৫), ট্রলারের মাঝি মুরাদনগর থানার রঘুনাথপুরের মো. আউয়াল (৬৫) ও কুমিল্লা তিতাস থানার রঘুনাথপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম কালা (৪০)।

বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, ভোরে বাল্কহেডটি চাঁদপুর থেকে বালু নিয়ে হাজীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রলার মৈশাদী এএমএস ইটভাটার জন্য মাটি নিয়ে যাচ্ছিল। পথে মমিনপুর গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর বাঁকে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ট্রলারে থাকা মাঝিসহ ১১ শ্রমিকও পানিতে ডুবে যান। পরে কুমিল্লার তিতাস থানার মো. আবুল কাশেম, মো. ইউনুছ, মো. ফরিদুল ইসলাম, মো. জলিল, মুরাদ নগরের আল-আমিন ও মুরাদ নগরের মো. দেলোয়ার সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও পাঁচজন পানিতে তলিয়ে যান। এর মধ্যে মাঝি আউয়ালকে প্রথমে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। নিখোঁজ বাকি চারজনের মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার করে।

বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন বিল্লাল বলেন, ঘটনার পরপরই আমাদের ইউপি সদস্যরা ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার লোকজনকে মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে এসেছি। রাতে এ নদীতে ঝুঁকি নিয়েই বালুবাহী বাল্কহেড চলা ফেরা করে। শীত মৌসুমে কুয়াশার মধ্যে আরও বেশি ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে নদীর বাঁক ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। ইটভাটার মাটিবাহী ট্রলারের সংখ্যাও বেড়েছে।  

চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উত্তরের উপ সহকারী পরিচালক মো. সাহিদুল ইসলাম জানায়, নদী থেকে আমাদের ডুবুরি দল চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আরেকজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তবে ট্রলারটি এখনো ঘটনাস্থলেই ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। 

চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ইকবাল হোসেন-১ নামক বালুবাহী বাল্কহেডের চার শ্রমিককে আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।