নাটোরের লালপুর বিগত দশ মাস আগে চাকরি থেকে অবসর গ্রহন করলেও এখনো ডিউটি করে যাচ্ছে নাটোরের লালপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি চালক মাহাবুব আলম। গত বছর মার্চ মাসে অবসরে যাওয়ার পরে ঐ একাই পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে মাহাবুব তার বোনের ছেলে খাইরুল কে চাকরি পাইয়ে দেয়। তবে খাইরুল নিয়োগ সংক্রন্ত কাগজ পত্র অফিসে খোজ নিয়োও পাওয়া যায়নি । কিন্ত খাইরুল গাড়ি না চালিয়ে প্রতি মাসে সরকারি ১৭০৫০টাকা বেতন ভাতা গ্রহন করছে উপজেলা হিসাব রক্ষক শাখা থেকে যানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের লালপুর উপজেলায়। জানা যায়, লালপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি চালক হিসেবে অবসরের পরেও প্রায় দশ মাস যাবত গাড়ি চালক খাইরুল বেতনও নিচ্ছে খাইরুল মামা বর্তমান গাড়ি চালক মাহাবুব আলম। দীর্ঘ দিন আগে চাকরির মেয়াদ শেষ হলেও ভাগিনা চাকরি করছেন মামা তবে কীভাবে তিনি একটি গরুত্বপূর্ণ স্থানে দীর্ঘ দিন পার হলেও কী ভাবে রয়েছেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক গুনজন ।
বর্তামানে দেশে প্রায় ২৭ লাখ মানুষ বেকারত্ব জীবন যাপন করছেন। দীর্ঘ সময় অনুসন্ধানের পর অনুসন্ধানি টিমের হাতে খোলাসা হতে চলেছে বিষয়টি। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য, দায়িত্বরত গাড়ি চালক মাহাবুব আলমের চাকরীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে এরই মধ্যে আরেক জনকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ দেওয়া হলে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্ব গ্রহণ না করে কাজ করছেন অন্য প্রতিষ্ঠানে। নিয়োগ প্রাপ্ত ব্যক্তি খাইরুল ইসলাম শাহান এর বাড়িতে গেলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। বর্তমান ড্রাইভার মাহাবুব আলমের ভাগিনা নাজমুল ওরফে খাইরুল ইসলাম শাহান। শাহান ও বর্তমানে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে বলে ্ অনুসন্ধানে জানা যায় । এ বিষয়ে ড্রাইভার মাহাবুব আলমের স্ত্রী ও খাইরুল ইসলাম শাহানের মামি বলেন, কম বেতনের চাকরি হওয়ায় শাহান এই কাজ করতে রাজি না। তাই বর্তমানে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে বলে । আর শাহানের মামা (মাহাবুব আলম) আর কিছু দিন পরের চাকরির মেয়াদ শেষ হলে বাড়িতে চলে আসবে। বাড়িতে গিয়ে খাইরুল ইসলাম শাহানকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং মোবাইল ফোনে কথা বলতে রাজি হয়নি । এ বিষয়ে দায়িত্বরত গাড়ি চালক মাহাবুব আলম বলেন, আমার কিছু ব্যাক্তিগত কাজে আছে সেটা শেষ হলেই আমি কিছু দিনের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করবো। তবে তেল চুরি, নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নামে চাঁদাবাজি, বিভিন্ন ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করার আগে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তথ্য ফাঁস, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা উত্তলন এসব আভিযোগ সব মিথ্যা বলে বলেন গাড়ি চালক মাহাবুব আলম। ।
এ ব্যপারে উপজেলায় সদ্য দায়িত্ব পাওয়া বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানা কেমারারা সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও বিষয়টি অতি দ্রুত খতিয়ে দেখে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ গ্রহণ করার অশ্বাস দেন।