ঢাকা, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

নৌকায় ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আনসারের বিরুদ্ধে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৩১ জানুয়ারী ২০২২ ০৭:২৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
সেনেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। সকাল ১১ টার দিকে দেখা যায়, বুথের মধ্যে কবির নামে এক আনসারসহ বিভিন্ন বুথে ভোট প্রধান করছে আনসাররা।

তরুণী ভোটার সরফুন নাহার সাথী অভিযোগ করে বলেন, আমি ভোট দিতে গেলে জোর পূর্বক ভাবে ভোট দিচ্ছে নৌকার সমর্থক আনসার সদস্যরা। আমার ভোট যখন দিতে গেলাম তখন টিপ দিয়ে সব শেষ হলে যখন ভোট দিতে যাবো তখন দেখি এক আনসার সদস্য আমার ভোট দিয়ে দিচ্ছে। পরে আমাকে ভোট কেন্দ্রে থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

আলহাজ্ব রমযান আলী ৮৪ অভিযোগ করে বলেন, দিতে চায়ছিলাম ঘোড়া মার্কায় ভোট কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা হযরত আলী স্বপন নৌকা মার্কায় জোর পূর্বক ভাবে ভোট দিয়ে দিছে।

হাবিবুর রহমান নামে এক ভোটার বলেন, ভোট দিতে গিয়ে দেখি নৌকার এজেন্ট ও সমর্থন করা আনসার সদস্যরা আমার ভোট দিয়ে দিচ্ছে পরে ভোট কেন্দ্রে থেকে আমাকে জোর করে বের করে দিয়েছে।

আনসার সদস্য কবির মিয়া বলেন, ইভিএময়ে ভোট যারা দিতে পারতেছে না তাদের সহযোগীতা করা হচ্ছে। আমি কারো ভোট দিচ্ছি না। এটা সম্পূর্ন মিথ্যা অভিযোগ।

সেনেরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইটিং কর্মকর্তা শহিদুর রহমান বলেন, কোন প্রকার জোর পূর্বক ভোট দেয়া হচ্ছে না । যারা না বুঝে তাদের ভোট দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আজ সোমবার ৬ষ্ঠ ধাপে ইভিএম এ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নির্বাচনে ৩ প্লাটুন বিজিবিসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। 

উপজেলার মির্জাপুর, আলমনগর, হাদিরা, নগদাশিমলা এবং ধোপাকান্দি এই ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ১৫৪ জন এবং সংরক্ষিত পদে ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নির্বাচনে ৫০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলেছে। শতকরা হিসেবে ৮৮ ভাগের বেশি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচনে মোট ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ৫৮ হাজার ৮৯২ আর নারী ভোটার রয়েছে ৫৮ হাজার ১৮১ জন।
 
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, বিগত সময়ের মতো এবারও নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধ করতে পর্যান্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনে ৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঝুঁকিপূণ প্রতিটি কেন্দ্রে থেকে ৮ জন করে পুলিশ এবং সাধারণ কেন্দ্রে ৭ জন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। একই সাথে প্রতিটি কেন্দ্রে ১৪ থেকে ১৬ জন করে আনসার সদস্যও দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনে ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।