ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পুঠিয়ায় ভাঁড় বিক্রির ধুম

গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৫:৩৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় খেজুরের রস সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হওয়া মাটির পাত্র নাড়ি বা ভাঁড় নামে পরিচিত। এখন কুমারপাড়ায় মাটির এই নাড়ি বা ভাঁড় তৈরির ও বিক্রির ধুম পড়েছে। হেমন্তের শিশিরভেজা আর হাল্কা ঠাণ্ডা জানান দিচ্ছে শীত আসছে। খেজুর গাছ থেকে নামবে মিষ্টি রস, গাছিরা খেজুরগাছ প্রস্তুত করেছেন। তাই পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন কুমার পাড়ায় চলছে নাড়ি বা ভাঁড় তৈরির ব্যস্ততা। পুঠিয়ার ঝলমলিয়া পালপাড়া, কানাই পাড়া পালপাড়া ছাড়াও উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নে খেজুর রস সংগ্রহের জন্য মাটির তৈরি পাত্র পাওয়া যায়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, তৈরি হচ্ছে খেজুর গাছে পাতার জন্য নাড়ি বা ভাঁড়। মৌসুমের শুরুতে কুমোরপাড়ার নারী-পুরুষরা সবাই এখন আসন্ন শীতের খেজুর রস সংগ্রহের মাটির পাত্র তৈরি করছেন দিনের বেশিরভাগ সময়। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একদিকে চলছে কাদামাটির তৈরি পাতিল রোদে শুকানো অপরদিকে রাত থেকে চলছে বিশাল চুল্লিতে আগুনের তাপে পোড়ানো। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে থেকে শুরু করে কুমোরের নিজ বাড়ি থেকেই কেনা হচ্ছে মাটির এ সকল পণ্য।

ঝলমলিয়া পালপাড়া গ্রামের অধীর পাল বলেন, ২০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আকার ভেদে ৬০ টাকা পর্যন্ত মাটির নাড়ি বা ভাঁড় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরে তুলনায় এ বছরে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে মাটির কলস গুলো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে। আমাদের গ্রামটি পুঠিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রতিদিনই আশেপাশের উপজেলা থেকে ক্রেতারা আসছেন এবং তারা মাটির পাত্র কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, এ পেশায় আগের মতো লাভ হয় না, বংশের ঐতিহ্য ধরে রেখেছি মাত্র। চাহিদা কম থাকায় দাম অনেক কম, এই ব্যবসা বাড়াতে পারিনি, পূর্বের দামেই বিক্রি করছি। তবে এই মৌসুমে বেচাকেনা অনেক ভালো হবে বলে আশা করছি।

বাঘা উপজেলার নারানপুর গ্রামের ক্রেতা বিনয় খলিফা বলেন, গুড় তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাটির নাড়ি বা ভাঁড়, কেনার জন্যে এসেছি। এ বছর ভালো মানের নতুন নাড়ি বা ভাঁড় একটু বড় আকারের গুলো ৩০ থেকে ৬০ টাকা করে দরে কিনেছি। খুব একটা দাম বৃদ্ধি পায়নি বলে মনে করেন এই ক্রেতা।

বায়ান্ন/একে