ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ই বৈশাখ ১৪৩১

মাগুরা আল-বারাকা ক্লিনিকে ক্রসম্যাচিং ছাড়াই রক্ত প্রদানে প্রসূতি ও সন্তানের মৃত্যু

মিরাজ হাসান, মাগুরা প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : সোমবার ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১২:৪৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

প্রসূতি রাশিদার রক্তের গ্রুপ ছিলো ‘ও’ পজিটিভ। কিন্তু তাকে দেওয়া হয় ‘এবি’ পজিটিভ রক্ত। রক্তের সমস্যার কারণে নবজাতক সন্তানের মৃত্যু হয়। এরপর প্রসূতিরও মৃত্যু ঘটে।
 
মাগুরা আল বারাকা ক্লিনিকের গাফিলতির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। জানা যায়, পরিস্থিতি খারাপ হলে প্রসূতিকে ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এরপর আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
 
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, সিজারের আনুমানিক ১৫ মিনিটের মধ্যে শিশু সন্তানের মৃত্যু ঘটে এবং অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ছটফট করতে থাকেন ভুক্তভোগী প্রসূতি রাশেদা বেগম (২৬)।
ক্লিনিক সূত্রে জানা যায়, ক্রসম্যাচিং ছাড়াই রক্ত প্রদানে প্রসূতি ও সন্তানের মৃত্যু ঘটে।
 
এর আগে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দালালের খপ্পরে পড়ে মাগুরা কাউন্সিল পাড়া এলাকায় অবস্থিত নিউ আল বারাকা ক্লিনিকে ভর্তি হন প্রসূতি রাশিদা বেগম। রাত আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটে সিজারের জন্য আসেন চিকিৎসক দিলারা আকবর লাবনী।
অস্ত্রোপচারের কিছু সময় পর নবজাতকের মৃত্যু ঘটে এবং প্রসূতির অবস্থা গুরুতর হলে ডা. দিলারা আকবর লাবনী তাকে রেফার করেন।
 
এ বিষয়ে ডা. দিলারা আকবর লাবনী বলেন, এখানে আমার কোনো দোষ নেই। এটা ক্লিনিকের ভুল।
মৃত প্রসূতি রাশিদা বেগম মাগুরা সদরের খর্দকুছন্দি গ্রামের মো. রমজানের স্ত্রী। প্রসূতির তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। একটি ছেলে সন্তানের আশায় মা হতে চেয়েছিলেন তিনি।
 
ট্রান্সফিউশন মেডিসিনে ক্রসম্যাচিংয়ে রক্তদানের আগে পরীক্ষা করা হয় যে রক্তদাতার রক্ত প্রাপকের রক্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা।
 
এ বিষয়ে অ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসক সৌমেন বলেন, গর্ভে থাকা অবস্থায় ভুল রক্ত দেওয়ায় নবজাতকেরও মৃত্যু ঘটে। এটা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের গাফিলতি।
 
মাগুরা সিভিল সার্জন শহিদুল্লাহ দেওয়ান বলেন, রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।