ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি বর্ষণকারী যুবলীগ নেতা সোহাগ গ্রেপ্তার

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:১৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণকারী যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন সোহাগকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। 

শুক্রবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে সদর থানা পুলিশ চট্রগ্রাম মেট্রোপুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তারকৃত গিয়াস উদ্দিন সোহাগ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। সে সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর এলাকার মো. রুহুল আমিনের ছেলে। 

যুবলীগ নেতা সোহাগকে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেন এবং পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ চার মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ। 

তিনি আরও জানান, ৪ আগস্ট সাবেক যুবলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসভবনের ছাঁদ থেকে টিপুর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে গুলি বর্ষণকারী ছিল গিয়াস উদ্দিন সোহাগ। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, গুলি ও নিহতদের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

সোহাগ জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের অপসরাণকৃত সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপুর ঘনিষ্ঠ জন বলে পরিচিত রয়েছে। এছাড়া বহুল আলোচিত মানব পাচার মামলায় কুয়েতে দন্ডিত লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি কাজী সেলিনা ইসলামেরও এপিএস ছিল সে। 

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকার সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। পাল্টা প্রতিরোধে চেষ্টা করে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এ সময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের অপসারণকৃত সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে মুহুমুহু গুলি ছুড়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

নিজ বাসভবনের ছাঁদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাহ উদ্দিন টিপু ও তার সহযোগী গিয়াস উদ্দিন সোহাগসহ অন্যরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেনসহ চার শিক্ষার্থী নিহত হয়। 

এ সময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। এ ঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এসব মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে