যশোরের শার্শায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড় ভাই শেখ ইমাদুল হক (৭০) কে কুপিয়ে জখম করেছে ছোট ভাই শেখ খোকন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় রাতেই ৪ জনকে আসামী করে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
রবিবার সকালে শার্শা উপজেলার রাড়িপুকুর গ্রামের শেখ পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে শেখ খোকনকে জনতা আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
জানা গেছে, শার্শার রাড়িপুকুর গ্রামের মৃত শেখ ফজলে করিমের বড় ছেলে শেখ ইমাদুল হক এর সাথে তার আপন সহোদর ছোট ভাই শেখ খোকনের জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিলো। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে রোবরার সকাল সাড়ে ১০ টায় একই গ্রামের শেখ মশিউর রহমানের পারিবারিক কবর স্থানে বড় ভাই ইমাদুল শেখকে একা পেয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ছোট ভাই শেখ খোকন (৫৫), শেখ খোকন এর ছেলে শেখ মাসুদ রানা চঞ্চল (২৮), আরেক ভাই শেখ শহিদুল ইসলাম (৬০), তার ছেলে শেখ রাকিবুজ্জামান সঞ্জয় (২৭) বাঁশের লাটি লোহার রড ও কুড়াল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে ইমাদুল শেখের চিৎকারে কবরস্থানের আশেপাশে থাকা লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগআঁচড়া নাসিং হোম ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে খুলনা সিটি মেডিকেলে আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দিলে সেখানে ভর্তি করা হয়।
আহত ইমাদুলের স্ত্রী আনেছা খাতুন জানান, আমার দেবরের (খোকন) সাথে আমার স্বামীর দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। আমার ছেলে সন্তান কেউ বাসায় না থাকায় জমা-জমি ভোগ করার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর উপর আঘাত করতে সহজ হয়। ঘটনার দিন আমার স্বামী গ্রামে এক মৃত ব্যক্তির জন্য কবর খোড়া দেখতে কবর স্থানে গিয়েছিলো। আমার দেবর ও তাদের সন্তানরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমার স্বামীকে একা পেয়ে লোহার রড বাঁশের লাঠি ও কুড়াল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এলাকার লোকজন উদ্ধার করে আমাদের খবর দিলে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। তার অবস্থা আশংকাজনক। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, এ ঘটনায় থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান আসামীকে আমরা ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি এবং বাকি আসামীদের গ্রেফতারে জন্য এলাকায় অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।