ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় পেঁয়াজের প্রচুর চাষ হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি চাষ হয় পাইকপাড়া গ্রামে। এ বছর ঘনঘন বৃষ্টির কারনে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। সার এবং কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষক বিভিন্ন প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করার পর এবার তারা পেঁয়াজ ক্ষেতে শ্যাম্পু স্প্রে করছেন। শ্যাম্পু স্প্রে করার মাধ্যমে তারা ভালো ফল পেয়েছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘শৈলকুপা উপজেলায় চাষযোগ্য জমি আছে ২৮ হাজার ৫ শ’ হেক্টর। তার মধ্যে এ বছর পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৯শ’ ৬৬ হেক্টর জমিতে। রোপন করা হয়েছে ৮৪০৫ হেক্টর জমিতে। বারি-১, লাল তীর, লাল তীর কিংসহ বেশ কয়েকটি জাতের পেঁয়াজ বেশি চাষ হচ্ছে।
ধুলিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক হাফিজ বলেন, আমি ৫বিঘা জমিতে পেঁয়াজ রোপন করেছি। ঘনঘন বৃষ্টির কারনে পেঁয়াজে বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। কিটনাশক ব্যবহারের সাথে সাথে আমি জমিতে শ্যাম্পু স্প্রে করেছি। এতে আমি ভালো উপকার পেয়েছি। শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ওষুধ পেঁয়াজ পাতায় সহজেই লেগে যায়। একারনে ওষুধে ফলাফল পাওয়া যায়।
বড় মৌকুড়ি গ্রামের কৃষক নিয়ামত বলেন, পেঁয়াজের জমিতে শ্যাম্পু দিয়ে আমি উপকার পেয়েছি। পোকামাকড় মরে যায়। শুনেছি অনেকেই হুইল পাওডারও দিচ্ছে।
শৈলকুপা উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মারফত হোসেন জানান, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা থেকে পেঁয়াজ রোপন বেশি হয়েছে। কিছু কৃষক পেঁয়াজ ক্ষেতে শ্যাম্পু স্প্রে করছেন। শ্যাম্পু স্প্রে করলে কালো জাব পোকা মারা যায়। পেঁয়াজ পাতায় ওষুধ আটকে থাকার কারনে ওষুধের গুনাগত মান অক্ষুন্ন থাকে।