সরকারী শাহসুলতান কলেজ বগুড়ার অফিস সহকারী হান্নান ও হারুন উর রশিদ’র প্রতারণতার শিকার হয়ে ওই কলেজের ২০/২৫জন শিক্ষার্থী। তারা দীর্ঘ দু’বছর লেখাপাড়া করে আজকে তারা জানতে পেরেছে তারা ওই কলেজের ছাত্রই না।
এরকম তথ্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তাদের মাথায় যেন বাজ পড়েছে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। কেউ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, আবার কেউ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এ ঘটনার প্রতিবাদে কলেজ ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা দোষী যেই হোক তার দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেছে তারা কিছুই জানে না। তবে এঘটনা তদন্ত করে দেখে যে দোষী হবে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে জানিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, দু’বছর আগে কলেজে ভর্তি সময় ২০/২৫ জন ছাত্রছাত্রী কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য কলেজের অফিস সহকারী হান্নান ও হারুন উর রশিদ’র কাছে টাকা জমা দেন।
পরবর্তীতে তারা কলেজে যথারীতি ক্লাশ করে আসছে। আজ বৃহস্পতিবার কলেজে ফরম ফিলাপ করতে এসে ওই শিক্ষার্থী জানতে পারে তারা কলেজের ছাত্রই না। বিষয়টি নিয়ে তারা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রেজাউন নবী সঙ্গে দেখা করেন। এসময় তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখে যে দোষী সাবস্ত হবে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে কার্পণ্য করবো না।
এদিকে ওই ছাত্রছাত্রীর কাছে ভর্তির রশিদ ও পরীক্ষার ফ্রি নেয়া হয়েছে যথা নিয়মে। অনেকে রশিদ নিয়েও এসেছেন।
ছাত্রছাত্রীদের দাবি যে প্রতারনা করুক আমরা ওটা বুঝবো না আমরা যথাসময়ে পরীক্ষা দিতে চাই। যেভাবে হোক আমরা পরীকা দিতে পারলেই হলো।
বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবক বৃন্দ।