ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হরিপুর উপজেলায় জীবনপুর ডাকঘরের জরাজীর্ণ ভবনটির ছাদে ফাটল, আতংকে কর্মকর্তা কর্মচারীগণ

মোঃ আনোয়ার হোসেন, হরিপুর : | প্রকাশের সময় : শনিবার ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০৯:৩৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা ভারতীয় সীমানা ঘেঁষে অবস্থিত। বৃটিশ আমলে দেশ ভাগের আগে হরিপুরে ঐতিহাসিক ডোল মেলায় বসত, যা আজো বয়স্ক মানুষের স্মৃতিতে ভেসে উঠে। সেই সময় কলকাতা কেন্দ্রীক ব্যবসা বাণিজ্য  ছিল।আর যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম  পূর্ণীয়ার সড়ক।জীবনপুর মৌজায়  বৃটিশ  আমলে জীবনপুর ডাকঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় ব্যবসা বাণিজ্যের চিঠি পত্র  লেনদেন সব কিছু কলকাতা কেন্দ্রীক।  পাকিস্তান আমলের জীবনপুর ডাকঘর টি স্থান্তরিত হয়ে হরিপুর সদর উপজেলায় কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এরশাদ সরকারের  আমলে ১৯৮৬ সালে  ভবনটি নির্মাণ করা হয়। সেই সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ত্রুটির কারনে ছাদের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না রেখেই ভবনটি তৈরী করে। কয়েক বছর যেতে না যেতেই ভবনটি স্যাওলা জমে স্যাত-স্যাতে হয়ে গুনগত মান হারিয়ে ফেলে। পক্ষান্তরে  ওয়ালের পলস্টার ছাদের বীমের খসে পরছে ও বর্ষাকালে ছাদের পানি ঘরে মেঝেতে পরে।

স্যাত-স্যাতে জরাজীর্ণ ভবনটিতে জীবনের ঝুঁকি কর্মকর্তা কর্মচারীগণ স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই দূর্ভোগের মধ্যে কার্যক্রম চালানো কারণ কি?

 

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত  পোস্ট মাস্টার কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, কয়েক বছর আগে অফিশিয়াল ভাবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে কোন ফলাফল আসেনি। আমরা ভয়ে ভয়ে অফিস করে থাকি, যে কোন সময় ছাদের পলস্টার খসে মাথার উপর পরতে পারে। জীবনের  মায়া ত্যাগ করে জীবনের  ঝুঁকি নিয়ে  চাকুরি করছি। অনেক সময় আবার মূল্যবান কাগজ পত্র পানিতে ভিজে যায়। আমরা সরকারি চাকুরি করি, না আসলে চাকুরি থাকবে না।

আবার জনবল সংকটে চলছে অফিসে ৬ জন লোকের মধ্যে আমরা তিন আছি। পোস্ট মাস্টার অবসর গেছে, রানার ও, ঝাড়ুদার পদে লোক নাই। 

আপনাদের মাধ্যমে আবারও  আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ভবন নির্মান ও জনবল সংকট যেন অতি দ্রুত সমাধান   করে দেওয়া হয়। আর যেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের অফিস করতে না হয়।