জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য দম্পতির বিরুদ্ধে যশোর দুদকে দুইটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিন ও সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম বাদী হয়ে যশোরের কার্যালয়ে এ মামলা করেছেন।
সহকারী পরিচালক আল আমিন মামলায় উল্লেখ করেছেন, স্বপন ভট্টাচার্য্য ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি একাদশ সংসদে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এ সময়কালে তিনি অবৈধ লেনদেন ও ঘুষ দুর্নীতির অবৈধ স্থাবর অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। যা ১৯ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিচালনা করেছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং এর অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে দুদক এ মামলা দায়ের করেছে।
এ মামলায় তিনি আরো উল্লেখ্য করেছেন, ২ কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার ১৫১ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে স্বপন ভট্টাচার্য্যের। এছাড়া নিজের নামে ১৯ ব্যাংক হিসাবে ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। দুর্নীতি ও ঘুষ নেয়ার মাধ্যমে পাওয়া অর্থ গোপন করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন।
এদিকে সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলমের মামলার অভিযোগে জানা গেছে, তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যে স্বামী সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগসাজোসে অবৈধ স্থাবর অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ১০ ব্যাংক হিসেবে এসব লেনদেন পরিচালনা করেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং-এর অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বপন ভট্টচার্য্যের স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯১ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। এছাড়াও ১০ ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য গোপন করার জন্য রূপান্তর, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য।
দুদক যশোরের উপপরিচালক আল আমিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। প্রাথমিক তদন্তে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ায় মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ