নরসিংদীতে তিতাস কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা রেললাইনে আটকে ছিল। আজ বুধবার বেলা ২টা ২২ মিনিটে স্টেশনসংলগ্ন তরোয়া এলাকার ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। দেড় ঘণ্টা পর আন্তনগর চট্টলা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সহায়তায় ট্রেনটিকে পরবর্তী স্টেশন জিনারদীতে নেওয়া হয়।
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে বেলা একটায় ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনটি রাজধানী ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। বেলা ২টা ১৬ মিনিটে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেওয়ার জন্য থামে ট্রেনটি। যাত্রাবিরতি শেষে ২টা ১৮ মিনিটে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। এর চার মিনিটের মাথায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে হঠাৎ ট্রেনটি থেমে যায়।
এ ঘটনায় ট্রেনটির ঢাকাসহ বিভিন্ন স্টেশনের শত শত যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। কেউ কেউ ট্রেন থেকে নেমে শহরের জেলখানার মোড় হয়ে বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। আবার কেউ কেউ রেলস্টেশনে ফিরে পরবর্তী ট্রেনের অপেক্ষা করেন। অনেক যাত্রীকে ট্রেনের ভেতরে বসে থাকতে দেখা যায়। যাত্রীরা নিশ্চিত ছিলেন না, ট্রেন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে কি না। এ কারণে আন্তনগর চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটিও ৩০ মিনিট পর গন্তব্যে পৌঁছায়।
তিতাস কমিউটার ট্রেনের চালক ও সহকারী লোকোমাস্টার মো. ফরহাদ বলেন, নরসিংদী রেলস্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়ার পরপরই ইঞ্জিন থেকে দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। ২টা ২২ মিনিটে নরসিংদী শহরের তরোয়া এলাকায় পৌঁছার পর ট্রেনটি হঠাৎ থেমে যায়। পরে ইঞ্জিন পরীক্ষা করলে জেনারেটরের ত্রুটি ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকায় খবর পাঠানো হয়। সেখান থেকে উদ্ধারকারী ইঞ্জিন পাঠানো হচ্ছে বলে তাঁদের জানানো হয়েছে।
নরসিংদী রেলস্টেশনের মাস্টার ইমন খান বলেন, বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরবর্তী ট্রেন আন্তনগর চট্টলা এক্সপ্রেস স্টেশনটিতে যাত্রাবিরতি দেয়। এই ট্রেনের ইঞ্জিনের সহায়তায় ইঞ্জিন বিকল হওয়া তিতাস কমিউটারকে পরবর্তী জিনারদী স্টেশনে নেওয়া হয়। পরে ইঞ্জিনটি ফিরে এসে ৪টা ৩৫ মিনিটের দিকে নরসিংদী থেকে বগি নিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।