ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ০৭ বছর পলাতক থাকার পর গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
র্যাব-২ এর প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ২০১৬ সালে আসামী মোঃ নান্নু খান পলাশ(৪৭) একটি গার্মেন্টসের ফ্লোর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নারী ভিকটিম উক্ত গার্মেন্টসে কর্মী হিসেবে যোগদান করে ০৪ দিন কাজ করার পর ৫ম দিন কাজ করতে গেলে গার্মেন্টস্ এর এজিএম ভিকটিমকে ১৮ বছরের কম বয়সী কর্মী হিসেবে অবহিত করে কাজে নেয়া যাবেনা বলে ভিকটিমকে জানায়। পরের দিন ভিকটিম আবার সেই গার্মেন্টস এ কাজের জন্য গেলে গার্মেন্টস ফ্লোর ইনচার্জ আসামী মোঃ নান্নু খান পলাশ(৪৭) ভিকটিমকে অন্য গার্মেন্টস এ কাজ নিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দেয় এবং একই দিন বিকেল বেলা ভিকটিমকে অন্য গার্মেন্টস এ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুড়িয়ে রাত আনুমানিক ৯:৩০ ঘটিকার সময় শাহাজানপুর থানাধীন একটি হোটেলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে একটি রুম ভাড়া নেয়। আসামী মোঃ নান্নু খান পলাশ রাতের বেলা হোটেল রুমে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরেরদিন সকালে আসামী মোঃ নান্নু খান পলাশ ভিকটিমকে উক্ত হোটেল রুমে রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে আসামী মোঃ নান্নু খান পলাশের বিরুদ্ধে ডিএমপি, শাহাজানপুর থানায় (মামলা নং-০৪ তারিখ- ০৬/০৬/২০১৬ইং), ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর ৯(১) ধারায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের এর পর আসামী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। উক্ত মামলায় আসামী মোঃ নান্নু খান পলাশ ০৪ (চার) মাস জেলে থাকার পর জামিনে বের হয়ে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়। অন্য দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরবর্তীতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামী মোঃ নান্নু খান পলাশের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫, ঢাকা আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ (ছয়) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদানপূর্বক গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল ০৫ আগস্ট ( শনিবার) রাতে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ নান্নু খান পলাশ(৪৭), পিতা-মোঃ খলিলুর রহমান, থানা-মতিঝিল, জেলা-ঢাকা’কে দীর্ঘ ০৭ বছর পলাতক থাকার পর গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে গ্রফতার করে।